গত ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহত ইসরায়িলে হামলায় শতাব্দির সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকটে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজার ২২ লাখ মানুষ। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সেখানে প্রচুর সাহায্য পাঠানোর জন্য বার বার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ডাকে সাড়া দিয়ে গাজায় সাহায্য পাঠাচ্ছে। যদিও প্রয়োজনের চেয়ে ভয়াবহ রকমের কম সাহায্য গাজায় ঢুকতে পারছে। তবুও বিভিন্ন দেশ তাদের সুবিধামতো মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বর্তমান রাশিয়া প্রথম থেকেই গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেখানকার বেসামরিক মানুষদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তাবও উত্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, রুশ মন্ত্রণালয় গাজার বাসিন্দাদের জন্য ২৭ টন খাদ্য সরবরাহ করেছিল। আবারও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠালো রাশিয়া।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাশিয়ার জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে দুটি বিমান পাঠিয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রেস সার্ভিস সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
এক রুশ মুখপাত্র বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্টের গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে মানবিক পণ্য পরিবহনের জন্য রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের দুটি Il-76 বিমান পাঠানো হয়েছে।’ এসব পণ্যের সামগ্রিক ওজন ২৮ টন। সেখানে বিভিন্ন ওষুধ, হেমোস্ট্যাটিক এজেন্ট এবং ব্যান্ডেজিং উপকরণ রয়েছে। কার্গো দুটি মিসরীয় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর তারা এসব পণ্য গাজা উপত্যকায় পৌঁছে দেবে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৭টি মসজিদ এবং সাতটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া গত তিন সপ্তাহে গাজায় ২০৩টি স্কুল ও ৮০টি সরকারি অফিস ধ্বংস হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) গাজার জনসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।