আড়ংয়ের একটি পাঞ্জাবির নকশাকে ‘সমকামিতার প্রতীক’ হিসেবে দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে প্রচার চলছে, তাকে ‘গুজব ও অপপ্রচার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড।
সোমবার এক বিবৃতিতে আড়ং বলেছে, “এই উৎসবকালীন সময়ে আড়ংয়ের সুনামহানি করার জন্য একটি গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যেন মানুষের মনে আড়ং সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয় এবং বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত আড়ংয়ের খয়েরি রঙের একটি পাঞ্জাবিকে ঘিরে, যার বুকের বাঁ দিকে রামধেনুর মতন দেখতে নকশা রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় ওই পাঞ্জাবির ছবি ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ওই নকশা সমকামিতার প্রতীক। এই প্রচারে অংশ নিয়ে কেউ কেউ আড়ং বয়কটের কথাও বলছেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে আড়ং বলছে, ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের উদ্যোক্তারা সারা বছর প্রস্তুতি নেন, যা তাদের ব্যবসার প্রধান মৌসুম। আর এই উৎসবের মৌসুমকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘নেতিবাচক’ প্রচারের জন্য।
আড়ং প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ৪৬ বছর আগে আড়ংয়ের জন্ম। সারাদেশে এখন ২৯টি আউটলেট ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আড়ং।
“৭৫ হাজার কারুশিল্পী এবং তাদের পরিবারের আয় আড়ংয়ের সঙ্গে যুক্ত, যাদের অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত নারী। এছাড়া প্রায় ৫ হাজার কর্মী আড়ংয়ের সাথে সরাসরি কাজ করছেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে আড়ং অক্লান্তভাবে বাংলাদেশের কারুশিল্পকে মূলধারায় জনপ্রিয় করেছে।”
আড়ংয়ের লাভের অর্ধেক অর্থ দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য ব্র্যাকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
সেখানে বলা হয়েছে, “ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ বছরব্যাপী নানা উৎসব আয়োজনে, দৈনন্দিন প্রয়োজনে এবং জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত পালনে আপনারা সব সময় আড়ংকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আড়ং বিরোধী গুজব ও অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে, বাংলাদেশে জন্ম ও গড়ে ওঠা ব্র্যান্ড আড়ং এবং দেশের কারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।”