শিরোনাম :
কাজ করার সময় বা মোবাইলে সিনেমা দেখার সময় হেডফোন ব্যবহার কমবেশি অনেকেই করে থাকেন। এখন ইয়ারবাডও অনেকে ব্যবহার করেন। ইয়ারবাড আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ইয়ারবাড ব্যবহার করলে নানা ধরনের বিপদ সামনে আসতে থাকে। ইয়ারবাডের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে, আমরা কানের সংক্রমণ বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ঝুঁকির মধ্যে থাকি।
সম্প্রতি, একটি হাসপাতালের চিকিত্সকরা এক ১৮ বছর বয়সী তরুণের অপারেশন করা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহারের কারণে সংক্রমণের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছিল। তবে অপারেশন সফল হওয়ার পর ছেলেটির শ্রবণশক্তি ফিরে এসেছে।
আপনারও যদি দীর্ঘক্ষণ ইয়ারফোন লাগিয়ে থাকার অভ্যাস থাকে, তবে কিছু জিনিসের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি, তা না হলে বধির হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
ইয়ারবাড ব্যবহারকারী খুব কম লোকই থাকবেন যারা জানেন যে দিনে কত ঘণ্টা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে হবে। ভলিউম কেমন হওয়া উচিত: ১০০ ডিবি এর বেশি শব্দ শুনলে ১৫ মিনিটের মধ্যে আপনার কানের ক্ষতি হতে পারে।
তবে আমরা আপনাকে বলি যে ১০০ ডিবি খুব বেশি। আপনি যখন হেডফোন ব্যবহার করেন তখন ভলিউম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আপনার ডিভাইসের ভলিউমের ৬০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। বেশিভাগ স্মার্টফোন আপনাকে সতর্ক করে যখন ভলিউম ৬০ শতাংশ অতিক্রম করে।
এটি অতিক্রম করা আপনার কানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়াও এটি কতক্ষণের জন্য শোনা নিরাপদ বলে মনে করা হয় তাও গুরুত্বপূর্ণ।
বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। যে কোনও ক্ষেত্রে, এটি ৬০ মিনিটের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।
আপনি যদি আপনার হেডফোনের প্রতি আসক্ত হন, তাহলে প্রতি ৩০ মিনিট পর আপনার হেডফোনগুলি সরিয়ে ফেলতে ভুলবেন না, পাশাপাশি ভলিউম চেক করতে থাকুন।
