সম্প্রতি, হুয়াওয়ের ফাইভজি প্রযুক্তি ও স্মার্ট রেলওয়ে সল্যুশনের সহায়তায় উদ্বোধন করা হয়েছে ১০৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাওস-চীন রেলওয়ে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত ছিলেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং লাওস পিপলস রেভোল্যুশনারি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও লাওসের প্রেসিডেন্ট থংলাউন সিসুলিথ।
চীনের কুনমিং-এর উত্তর থেকে দক্ষিণে ভিয়েনতিয়েন স্টেশন পর্যন্ত, এই লাওস-চীন রেলপথটি আঞ্চলিক সংযোগের পাশাওয়াশি দ্বিপাক্ষিক অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এই রেলপথের ফলে চীন-লাওস সীমান্ত থেকে ভিয়েনতিয়েনের রাজধানীতে ভ্রমণের সময় দুই দিন থেকে কমে এসেছে তিন ঘণ্টায়।
লাওস-চীন রেলপথের ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি এর নির্মাণ, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ রেলপথের সকল বিষয়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ে স্মার্ট রেলওয়ে সল্যুশন সহায়তা করেছে। একইসাথে, উচ্চ গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক তৈরিতে ও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে লাওস টেলিকম অপারেটরদের সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে।
লাওসের প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী ড. বোভিয়েংখাম ভংদারা বলেন, “লাওস-চীন রেলপথ চালু উভয় দেশের নেতাদের দূরদৃষ্টিতার সাক্ষ্য রাখে। রেলপথে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরিতে হুয়াওয়ে লাওস টেলিকম অপারেটরদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।”
হুয়াওয়ে লাওসের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সোমলিথ নাম্মানিনিহ বলেন, “আমার বিশ্বাস, লাওস-চীন রেলওয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করবে, লাওসকে বৈশ্বিক বাজারে সম্পৃক্ত হতে সাহায্য করবে এবং স্থানীয় ব্যবসা ও জনগণের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করবে।”
বাংলাদেশেও এই মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ফাইভজি। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফাইভজি অবকাঠামো প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এখানে টেলিকম অপারেটরদেরকে বরাবরের মতোই প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা দান করবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন শিল্প ও উন্নয়ন কাজে এই উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হবে।