বিজয়ের মাসে বাংলাদেশ স্পর্শ করছে আরেকটি মাইলফলক। গড়ছে আরেকটি ইতিহাস। আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ প্রবেশ করবে পঞ্চম প্রজন্মের সুপার ফাস্ট ইন্টারনেট জগতে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলছেন, ফাইভ-জি সেবার মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের প্রযুক্তির ৩২৪ বছরের ব্যবধান নেমে আসবে এক বছরে। প্রথমে রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে মিলবে সুপার ফাস্ট ইন্টারনেট।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে চালু হয় ফোরজি। এই ইন্টারনেটের বর্তমান গতি সেকেন্ডে ১৬ মেগাবাইট। ৫জি'তে সেটি বেড়ে যাবে অন্তত ২০ গুন।
৫জি'তে প্রতি সেকেন্ডে ইন্টারনেটের গতি পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ২০ গিগাবাইট পর্যন্ত। ভিডিও কলে কথাবার্তায় আগে যেখানে ৩০ মিলিসেকেন্ড দেরী ৫জিতে সেটা কমে আসবে পাঁচ মিলিসেকেন্ডে।
একটি ৫জি মডেমেই যুক্ত হবে বাসার টিভি-ফ্রিজ-এসি-কম্পিউটারসহ নানান মেশিন। হাজার মাইল দুরে বসেই চিকিৎসক অপারেশন করতে পারবেন রোগীকে। এভাবে কৃষি-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-গেমিং সব খাতেই আসবে আমূল পরিবর্তন।
বাংলাদেশের জন্য ৫জি নেটওয়ার্কের আধুনিক সংস্করণ প্রস্তুত করেছে হুয়াওয়ে। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা আর ১১ বছরের বিনিয়োগ নিয়ে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি, জানালেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর এস এম নাজমুল হাসান।
আর অপারেটর হিসেবে এই গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছে টেলিটক। এরইমধ্যে এলাকা নির্দিষ্ট হয়েছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন জানান, ৫জি'র আওতায় বঙ্গভবন, গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয় ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর চূড়ান্ত হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হতে পারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ও টুঙ্গিপাড়া। ধাপে ধাপে যোগ হবে সারাদেশের আরও এলাকা।
তবে, ৫জি ব্যবহারের হ্যান্ডসেট কিংবা মডেমের দাম কেমন হবে? টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানাচ্ছেন, মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার নাগালেই থাকবে দেশে তৈরি এই ডিভাইস।
আপাতত পরীক্ষামূলক পর্ব। সামনের বছরের মার্চে হবে ফাইভ-জি তরঙ্গ নিলাম। তখন সব অপারেটরই এই সেবা দেয়ার সুযোগ পাবেন।