বিমানে ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। এই চুক্তির ফলে ১০০ টি বিমানে কোম্পানির টার্মিনাল বসাবে স্টারলিঙ্ক বিমান সংস্থা জেএসএক্স এর সঙ্গে এই চুক্তি করেছে স্পেসএক্স।
ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়েছে গিয়েছে। এর ফলে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সরাসরি গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এই জন্য বাড়িতে একটি ডিশ অ্যান্টেনা বসাতে হচ্ছে। তবে এবার শুধু পৃথিবীপৃষ্ঠেই স্টারলিঙ্ক এর ইন্টারনেট পরিষেবা সীমাবদ্ধ থাকছে না। সম্প্রতি বিমানে ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। এই চুক্তির ফলে ১০০টি বিমানে কোম্পানির টার্মিনাল বসাবে স্টারলিঙ্ক। বিমান সংস্থা জেএসএক্স এর সঙ্গে এই চুক্তি করেছে স্পেসএক্স। তবে এই চুক্তির অঙ্ক দুই কোম্পানির তরফ থেকেই গোপন রাখা হয়েছে।
স্যাটালাইট ব্রডব্যান্ড কানেকশনের কারণে একদিনে যেমন পৃথিবীর বুকে প্রত্যন্ত এলাকায় হাই স্পিড ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে, অন্যদিকে বাণিজ্যিক বিমানে আগের থেকে কম খরচে হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। স্টারলিঙ্ক ছাড়াও অন্যান্য স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানিগুলিও বিমানে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে।২০২১ সালে এক টুইট বার্তায় ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন একাধিক বিমান সংস্থার সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবার চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা শুরু করেছিল স্টারলিঙ্ক।
এক বিবৃতিতে জেএসএক্স এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরে জেএসএক্স গ্রাহকদের বিমানের মধ্যে ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। কোম্পানির জানিয়েছে এই ইন্টারনেট পরিষেবায় কোন লেগাসি সিস্টেম থাকছে না। অর্থাৎ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে লগ ইন করার পরে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য কোন রকম লগ ইনের প্রয়োজন হবে না।
রয়টার্সে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছ বিমানে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েছে স্পেসএক্স।
একাধিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই বিমানে স্টারলিঙ্ক এর ওয়াইফাই পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার শুরু করেছে জনপ্রিয় মার্কিন যাত্রীবাহী বিমান সংস্থা স্পেসএক্স। ইতিমধ্যেই ইলন মাস্ক জানিয়েছেন বিশ্বের সবথেকে বড় দুই যাত্রীবাহী বিমান আয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ বিমানে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসঙ্গে আশাবাদী তিনি।
বিমানে ওয়াইফাই সেবা অনেক দিন ধরে চালু থাকলেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে বিমান যাত্রার সময় হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। তবে বিমানে পৃথক টার্মিনাল বসানোর জন্য অনেক বেশি খরচ হয়। সেই ক্ষেত্রে নতুন বিমানে এই ধরনের টার্মিনাল বসানো থাকলে খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে।