এ সপ্তাহে ঢাকায় তিন দিনের এক সফরে টেলিনরের কাছে গ্রামীণফোনের বিশেষ অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন রোস্ট্রাপ। গ্রামীণফোনসহ এশিয়া যেসব দেশে টেলিনরে কার্যক্রম রয়েছে সেখানে এবছর নিজেদের বিনিয়োগসহ, ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে টেলিনর।
সফর চলাকালে সিনিয়র মন্ত্রী ও বিভিন্ন পার্টনারদের সাথে দেখা করেন করেন ইয়র্গেন রোস্ট্রাপ ও গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। এ সময় গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সেবার মানোন্নয়নকে টেলিনরের অগ্রাধিকারের বিষয় বলে সেবার আধুনিকায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রোস্ট্রাপ এবং এ বিষয়গুলো গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও একই রকম গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানান তিনি।
সফরের ওপর আলোকপাত করে ইয়র্গেন রোস্ট্রাপ বলেন, “প্রতিবার বাংলাদেশ সফরে এসে দেখতে পাই, গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। পাশাপাশি, গ্রামীণফোন ডিজিটাল কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারায় আমি গর্বিত। ডিজিটাল অ্যাকসেস ও কানেক্টিভিটির চাহিদা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে টেকনোলজি লিডার হিসেবে গ্রামীণফোনের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে। ডিজিটাল অ্যাকসেস ত্বরাণ্বিত করতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানুষকে মানিয়ে নিতে সহায়তা করতে সরকারের সাথে খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব করা প্রয়োজন। আমরা এ ধরনের অংশীদারিত্ব করার ব্যাপারে প্রত্যাশী।”
রোস্ট্রাপের সফরকালে গ্রামীণফোন ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডস’র বাংলাদেশি সংস্করণ উন্মোচন করে। উন্মোচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও এশিয়ায় গ্রামীণফোনের কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উপলক্ষে এ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। মোবাইল প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের জীবন ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে ও রূপান্তর ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে সমীক্ষায় আলোকপাত করা হয়।
দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন কীভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিফলন ঘটে সমীক্ষার ফলাফলে। স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ানো, ডিজিটাল দক্ষতা বাড়াতে তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং কীভাবে অনলাইনে নিরাপদ থাকা যায় এ বিষয়ে মানুষকে জানাতে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে কৌশলগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।