মরিশাস টেলিকমের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেরি সিংয়ের বিরুদ্ধে চীনের মেগা ফার্ম হুয়াওয়েকে বিশেষ নিলাম সুবিধা দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যবসা প্রসারিত করতে ইতোমধ্যেই কয়েক মিলিয়ন টাকার চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
মরিশাসে থ্রি-জি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে মূলত হুওয়ায়ে। প্রাক্তন এই কর্মকর্তার সময়ে হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি মূলত শেরি সিং ও চীন সরকারের মধ্যে অসাধু মৈত্রীকে ইঙ্গিত করছে। শেরি সিংয়ের যুগে হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গল্পও শোনা যায়।
২০০৬-২০০৭ সালে কয়েক কোটি টাকার চুক্তি করেছে, যা পরবর্তীতে শেরি সিংয়ের অধীনে বিলিয়নে পৌঁছায়। ২০০৬-২০০৭ সালে চীনের প্রতিষ্ঠানটি মরিশাসের জাতীয় টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানিতে প্রবেশ করে সাবেক প্রধান নির্বাহী শরত লাল্লাহর দিকনির্দেশনায়। ওই সময়ে হুয়াওয়েকে ইউট্র্যান থ্রি-জি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। টেলিকম জায়ান্টটি তার ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য একটি চুক্তিও পেয়েছিল।
মরিশাস ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবায় ভালো পেলে হুয়াওয়েকে ‘মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষমতা এবং কভারেজ’ ১৮ শতাংশ বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে চীনা কোম্পানিটি মরিশাসে অতিরিক্ত থ্রি-জি সাইট তৈরির জন্য আরেকটি চুক্তি সম্পন্ন করে।
মরিশাস টেলিকমের একটি সূত্র মরিশাস নিউজকে বলছে, ২০০৬-২০০৭ সালে হুয়াওয়ের সঙ্গে বরাদ্দকৃত চুক্তির পরিমাণ যদি কয়েকশ মিলিয়ন টাকা হয়, তবে ২০১৫ সালে বিলিয়ন হয়েছে; বিশেষ করে ১৯ বিলিয়ন টাকার সেফ সিটি ক্যামেরা প্রকল্প রয়েছে।”
প্রতিটি চুক্তি দরপত্র আহ্বানের পরে হয়েছিল এবং শেরি সিংয়ের অধীনে পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্যরা তা মানতে বাধ্য ছিলেন। ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিষদ থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর আপত্তি প্রকাশ করেছিল।
মরিশাস নিউজ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে দেশটির ওই খাতে দরপত্র প্রক্রিয়া বিকশিত হয়েছে। এর মানে এতদিন দরপত্রগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যক সরবরাহকারীর মধ্যে আটকে ছিল।