চীনের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এনভিডিয়ার কাছে অর্ডার দিয়েছে পাঁচশো কোটি ডলার মূল্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চিপের, যা জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অন্যতম চালিকাশক্তি।
বাইডু, টিকটকের মালিক বাইটড্যান্স এবং আলিবাবা একশো কোটি ডলার মুল্যের এনভিডিয়ার এ৮০০ এক লাখ চিপের অর্ডার দিয়েছে যা এ বছরের শেষ নাগাদ সরবরাহ করার কথা রয়েছে, বলেছে ফাইনানশিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে।
একটি চীনা গোষ্ঠী আরও চারশো কোটি ডলার সমমূল্যের জিপিইউও অর্ডার দিয়েছে, যা ২০২৪ সাল নাগাদ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি।
এনভিডিয়ার একজন মুখপাত্র প্রতিবেদনটির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বললেও রয়টার্সকে বলেছেন, “ইন্টারনেট এবং ক্লাউড সেবাদাতা কোম্পানিগুলো ডেটা সেন্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে। তারা প্রায়ই অনেকমাস আগেই অগ্রিম অর্ডার দেয়।”
চীনের সেমিকন্ডাকটর শিল্পকে লাগাম দিতে গত অক্টোবরে নতুন আদেশ আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন, সেইসঙ্গে চিপ শিল্পে কোটি কোটি ডলার ভর্তুকির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সরকার।
চীনে চিপ রপ্তানিতে সীমা বেঁধে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আদেশে এআই কাজের উপযোগী সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে এনভিডিয়া। নিষেধাজ্ঞা শর্ত অনুযায়ী নতুন এ৮০০ চিপ তৈরি করে চীনে রপ্তানি করতে পারছে কোম্পানিটি।
স্পর্শকাতর কোনো প্রযুক্তি খাতে চীনে বিনিয়োগে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রযুক্তিখাতে অন্যান্য বিনিয়োগের আগে মার্কিন সরকার থেকে অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করে গত বুধবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পরপর এই ফাইনানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হল।
গত জুনে এনভিডিয়ার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বলেছেন, চীনে চিপ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় “মার্কিন ইন্ডাস্ট্রির স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে”, তবে কোম্পানিটি তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান কোনো প্রভাব দেখছে না।
বাইডু, বাইটড্যান্স,টেনসেন্ট এবং আলিবাবার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাদের কেউই তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।