ঢাকা | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২১ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাগুলিকে বাইপাস করতে

৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ‘গোপনে’ চিপ কারখানা বানাচ্ছে হুয়াওয়ে

৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ‘গোপনে’ চিপ কারখানা বানাচ্ছে হুয়াওয়ে
৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ‘গোপনে’ চিপ কারখানা বানাচ্ছে হুয়াওয়ে

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চীনজুড়ে গোপনে সেমিকন্ডাকটর তৈরির কারখানা বানাচ্ছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস।সেমিকন্ডকটর শিল্পের সংগঠন সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (এসআইএ) দাবি করেছে যে হুয়াওয়ে বেইজিং এবং শেনজেনের সরকারগুলির কাছ থেকে আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল নিয়ে গোপনে চিপ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাগুলিকে বাইপাস করার জন্য কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

সেইসঙ্গে তারা আরও জানিয়েছে, হুয়াওয়ে এরইমধ্যে দুটো কারখানা নির্মাণ শেষে এখন তৃতীয়টির কাজে হাত দিয়েছে।

নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে ২০১৯ সালে হুয়াওয়েকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোম্পানিটি ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।

যদি হুয়াওয়ে অন্য কোম্পানির নাম ব্যবহার করে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা বানায় তবে তারা নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে মার্কিন কোম্পানিগুলো থেকে চিপ তৈরির যন্ত্রাংশ কিনতে পারবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন তাদের যুক্তরাষ্ট্রের হেডকোয়াটার থেকে ব্লুমবারগকে জানিয়েছে, হুয়াওয়ে অন্যান্য কোম্পানির নামে প্ল্যান্ট নিবন্ধন করে তার সম্পৃক্ততা লুকিয়ে রেখেছে, যার অর্থ বিক্রেতা পরোক্ষভাবে চিপমেকিং সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট সরবরাহ কিনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করতে পারে।

এসআইএর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসি, ইন্টেল এবং এএসএমএল ।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক বিবৃতিতে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি বলেছে যে এটি আশ্চর্যজনক নয় যে হুয়াওয়ে এবং অন্যান্য চীনা সংস্থাগুলি রাষ্ট্রীয় সমর্থনে দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশের ঘটাতে চাচ্ছে এবং আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।

বছরের শুরুতে, হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই মার্কিন কোম্পানিগুলি থেকে যেসব কম্পোনেন্ট আনতে পারছে এমন উপাদানগুলির স্থানীয় বিকল্পগুলির বিকাশের রূপরেখা দিয়েছিলেন ।তিনি উল্লেখ করেন যে হুয়াওয়ে ইতিমধ্যে ৪০০০টিরও বেশি সার্কিট বোর্ড পুনরায় ডিজাইন করেছে এবং তাদের পণ্য পরিসীমা জুড়ে.১৩০০০টিরও বেশি উপাদান প্রতিস্থাপন করেছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে হুয়াওয়েকে টার্গেট করা শুরু করে, বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।

জাপান এবং নেদারল্যান্ডস থেকে চীনে উন্নত চিপমেকিং সরঞ্জাম রপ্তানিকে লক্ষ্য করে সীমাবদ্ধতা জারি করে,একটি চলমান রাজনৈতিক প্রচারণার পাশাপাশি অনেক দেশকে চীনে তৈরি ৫জি নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নিষিদ্ধ করতে উৎসাহিত করে।

হুয়াওয়ে কিংবা মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, কারও কাছ থেকেই এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর পায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অনুমোদন ছাড়া কোনো মার্কিন কোম্পানি থেকেই কাঁচামাল বা প্রযুক্তি কিনতে পারবে না। চিপ ক্রয় বা নকশা করার সক্ষমতা যেন হুয়াওয়ে অর্জন করতে না পারে, সেজন্য কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন,নিষেধাজ্ঞা,৩০ বিলিয়ন ডলার,গোপনে,চিপ কারখানা,হুয়াওয়ে,সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (এসআইএ)
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend