দেশে অ্যারোনটিক্যাল লাইসেন্সধারী ১১টি কোম্পানির কার্যালয়ের কোনো হদিস পায়নি বিটিআরসি।সরকারি রাজস্ব আদায়ে উদ্যোগ নেয়াসহ এসব কোম্পানির দেশে এখনও কোনো কার্যক্রম আছে কিনা তা জানতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে একাধিক চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পায়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এমনকি কোম্পানিগুলো ব্যবহার করা বেতার যন্ত্রপাতি কোথায় আছে তারও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।শেষে পাওনা আদায়ে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বেস্ট এভিয়েশন, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, ট্রু এভিয়েশন, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, পিটার খং এভিয়েশন, ট্যাক এভিয়েশন, এভিএনা এয়ারওয়েজ এবং ভয়েজার এয়ারলাইন্স।কোম্পানিগুলোর কাছে রিপিটার, ইইএইচএফ মোবাইল, ওয়াকিটকি, অ্যারোনটিক্যাল মোবাইল, ভিএইচএফ ফিক্স স্টেশনসহ বিভিন্ন বেতার যন্ত্রপাতি রয়েছে।
যার লাইসেন্স বিটিআরসি হতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোর কাছে অর্ধকোটি টাকার বেশি পাওনা বিটিআরসির।বিটিআরসির কমিশনার (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) ড. মুসফিক মান্নান চৌধুরী বলেন, বিটিআরসি লাইসেন্সিদের মধ্যে যাদের কাছে সরকারের পাওনা আছে সব আদায়ে এখন জোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অটোমেশন করা হয়েছে, এখন কার কাছে কখন কত পাওনা তার হিসাব হালনাগাদ থাকবে এবং তা আদায় হবে।
ড. মুসফিক মান্নান চৌধুরী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান যে পাওনা না দিয়ে কার্যালয় গুটিয়ে চলে গেছে বা বন্ধ হয়েছে, তাদের কাছে পাওনা আদায়ে মামলাসহ যেসব উপায় আছে তা নেয়া হচ্ছে। তবে এখন হতে বিটিআরসির অটোমেটেড পদ্ধতির কারণে পাওনা আদায়ে সময়মতোই পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, সরকারের পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ হার্ডলাইনে যাই। এরজন্য মামলাসহ যত পদক্ষেপ নেয়া যায় তা বিটিআরসি নেবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, রাষ্ট্রের পাওনা পরিশোধ না করলে মামলাসহ যত রকম পদক্ষেপ নেয়ার আছে তা নেয়া হচ্ছে।‘নানাভাবে কেউ কেউ পাওনা না দেয়ার বা বিলম্বিত করার ফাঁকফোকর খোঁজে। কিন্তু এটা তো সম্ভব না, সরকারি পাওনা দিতেই হবে। এখানে কোনো ছাড় নেই’ বলেন মন্ত্রী।