ঢাকা | রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ |
২৩ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের মোবাইল নেটওয়ার্ক এর ভোগান্তি কি কমবে

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের মোবাইল নেটওয়ার্ক এর ভোগান্তি কি কমবে
ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের মোবাইল নেটওয়ার্ক এর ভোগান্তি কি কমবে

ঈদে ঘরে ফেরা গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক দিতে সবার আগে প্রয়োজন নেটওয়ার্ক শেয়ারিং। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি সম্প্রসারণ ও মানসম্পন্ন সেবা দিতে বেশ স্টেশন বা বিটিএস গ্রাহক বা ট্রাফিক ডেনসিটি অনুযায়ী যে পরিমাণ বসানো প্রয়োজন ছিল তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের বিটিআরসির যে নির্দেশনা ছিল সেখানে টাওয়ারকো কোম্পানিগুলি লাইসেন্সের অন্যতম শর্ত ছিল প্রান্তিক পর্যায়ে শতভাগ টাওয়ার বা বিটিএস নেটওয়ার্ক তৈরি করা। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তারা ৫০% অর্জন করতে পারেনি।বর্তমানে টাওয়ারের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬০০ প্রায় কিন্তু প্রয়োজন ১ লক্ষ অধিক। ফলে ঈদ মুখো গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে নানা ভোগান্তিতে প্রতিবছরই পড়ে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে দেখা যায় রাস্তায় বা গাছে ওঠে কথা বলতে।

আশা রাখি এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক প্রদান করতে সক্ষম হবে অপারেটর। যদিও তাদের সাথে আরেকটি চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ টাওয়ারের ব্যাকআপ ক্যাপাসিটি ২-৩ ঘণ্টার বেশি না। আবার প্রান্তিক পর্যায়ে জেনারেটর সার্ভিস খুব একটা দেয়া হয় না। অথচ বর্তমানে ঘর লোডশেডিং এর পরিমাণ প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। ফলে সংশয় বিদ্যুতের সাথে হারিয়ে যেতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সার্ভিস। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বা সমন্বয় করে সমস্যার সমাধান করতে পারে। এবং বিটিআরসির উচিত হবে অন্ততপক্ষে ঈদের ছুটির সময় প্রান্তিক পর্যায়ে টাওয়ার নেটওয়ার্ক শেয়ারিং এর ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেওয়া। আর তা না হলে অন্যান্য যত ব্যবস্থাই নেওয়া হউক না কেন তাতে গ্রাহক ভোগান্তি কমবে না।

মোবাইল নেটওয়ার্ক,ভোগান্তি,ঈদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend