ঢাকা | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২২ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

আইজিডব্লিউ'র লাইসেন্স ফি ৩ কোটি ৭৫ লাখ এর স্থলে শুধু ৫০ লাখ টাকা দিতে চায় অপারেটররা

আইজিডব্লিউ'র লাইসেন্স ফি ৩ কোটি ৭৫ লাখ এর স্থলে শুধু ৫০ লাখ টাকা দিতে চায় অপারেটররা
লাইসেন্স ফি’তে ৮৭ শতাংশ ছাড় চায় আইজিডব্লিউ অপারেটররা

আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) অপারেটরের বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা কমানোর আবেদন করে (প্রায় ৮৭ শতাংশ) অপারেটররা বছরে ৫০ লাখ টাকা দিতে চায়।

আইজিডব্লিউ অপারেটরগুলোর সংগঠন আইওএফ শুধু নবায়ন ফি নয়, সরকারের সঙ্গে বিদ্যমান রেভিনিউ শেয়ারও কমিয়ে অর্ধেক করার আবেদন করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে। আইওএফ এই চিঠি দেয় গত বছরের ১৯ অক্টোবর।

আইওএফ-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠালে গত ৮ নভেম্বর জানানো হয়, ‘আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বর্তমান নবায়ন ফি ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হতে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা এবং বিটিআরসির সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সংক্রান্ত আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই।’

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটররা আবেদন করতেই পারে। কিন্তু আর্থিক বিষয়গুলো আমরা দেখি না, অর্থমন্ত্রণালয় দেখে। অর্থমন্ত্রণালয় যদি যুক্তিযুক্ত মনে করে তা হলে ফি কমবে।

জানা যায়, লাইসেন্স নবায়ন ফি কমানোর আবেদনে আইওএফ উল্লেখ করে, বর্তমানে চালু থাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ছাড়া ২৩টি আইজিডব্লিউ অপারেটরের বার্ষিক আয় ৫০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক লাইসেন্স ফি প্রায় ১০০ কোটি টাকা। আইজিডব্লিউ অপারেটরগুলো ইতোমধ্যে খরচ কমাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়েছে। ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে।

আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে বিটিআরসি ১০ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের চিঠি পাঠায়। পত্রটি অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠানো হলে অর্থ বিভাগ ২৯ নভেম্বর সভা আহ্বান করে। সভায় আইজিডব্লিউ খাতে বিভিন্ন অর্থবছরের কল রেট, রেভিনিউ এবং কল ভলিউমের তুলনামূলক তথ্য বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদনসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব অর্থ বিভগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। বিটিআরসি এ বিষয়ে একটি কমিটি করে। কমিটি এ পর্যন্ত ৫টি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

আইজিডব্লিউ লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বার্ষিক লাইসেন্স ফি পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি সুপারিশ করে কমিটি। এরমধ্যে প্রথমটি হলো-বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা যেতে পারে। দ্বিতীয় অপশনে ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা ও তৃতীয়ত ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়।

আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বার্ষিক লাইসেন্স ফি সম্পর্কিত কমিটির তিনটি সুপারিশের গড় ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা কমিটির প্রথম সুপারিশের প্রায় সমান। বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরকার কর্তৃক পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে দেশে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের সংখ্যা ছিল ৭৫ কোটি মিনিট। ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৬৫ কোটি মিনিটে।

এখন গড়ে প্রতিদিন দেশে কল আসছে ২ কোটি ১৬ লাখ মিনিটের কিছু বেশি। জুলাইতে যা ছিল প্রায় আড়াই কোটি মিনিট।

৫ মাসের ব্যবধানে কল কমেছে ১০ কোটি মিনিট। ৫ বছরের ব্যবধানে দিনে কমেছে ১০ কোটি মিনিট করে। ২০১৫ সালে দিনে গড়ে কল আসতো ১২ কোটি মিনিটের মতো। এখন তা ২ কোটিতে নেমে এসেছে।

আইজিডব্লিউ,লাইসেন্স ফি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend