দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশের কলসেন্টার খাত। দেশে কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ২৯৭টি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লাইসেন্স নবায়নের আবেদন না করায় ১০৫ টি কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
ফলে বৈধতা হারাচ্ছে ৩৫ শতাংশের বেশি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী কলসেন্টার প্রতিষ্ঠান। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, একই কারণে ১৭ টি কলসেন্টার লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আইযে করপোরেশন, স্টার কম্পিউটার সিস্টেমস লিমিটেড, লেটেস্ট কমিউনিকেশন, সাজ টেলিকম অ্যান্ড ফ্যাশান, এমসিএল হটলাইন বাংলাদেশ, ডিজিটাল সল্যুশন ইন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি উল্লেখিত ১২২টি প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশনের সব পাওনা বকেয়া এক মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, শর্তানুযায়ী কলসেন্টার লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মেয়াদ ৫ বছর। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার এক মাস আগেই পরবর্তী মেয়াদের জন্য লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করতে হয়।
এদিকে বৈধতা হারানো এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বিগত বছরগুলোতে কার্যক্রম চালু রাখেনি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের অ্যাসোসিয়েশন এর নিবন্দিত ১০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়। ২০০৮ সাল থেকে কয়েক দফায় কল সেন্টার লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।
দফায় দফায় কল সেন্টার বন্ধ বা লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে বাক্কো কি অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে পড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা তিন দফায় মিটিং করেছি ইসিতে, বাক্কো ঠিক রেখে কল সেন্টার বাদ দিয়ে কন্টাক্ট সেন্টার হিসেবে নাম পরিবর্তন করার জন্য, এটি একটি দীর্ঘ প্রচেস। তিনি জানান, বাক্কোতে কলসেন্টার লাইসেন্স আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন কমে এখন ৭০ এর মতো আছে।
দেশে বিপিও খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি কাজগুলোতে বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিলে এইখাত অনেকদূর এগিয়ে যাবে।