ঢাকা | শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ |
৩৬ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ক্রেডিট কার্ডে ১১৭ কোটি টাকা পাচার-এনবিএলকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা

ক্রেডিট কার্ডে ১১৭ কোটি টাকা পাচার-এনবিএলকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
ক্রেডিট কার্ডে ১১৭ কোটি টাকা পাচার-এনবিএলকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) ইস্যু করা ১১টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা পাচার করে সিকদার পরিবার।

এসব কার্ডে ঋণের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে গোপন করা হয়। যে কারণে প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বিভিন্ন জালিয়াতির দায়ে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ, দুটি শাখার এডি লাইসেন্স বাতিল, ব্যাংকটির পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব বন্ধ কেন করা হবে না, তার জবাব দিতে আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে ন্যাশনাল ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে নানা জালিয়াতির তথ্য উঠে আসে। সাধারণভাবে ভ্রমণ কোটায় দেশের বাইরে বছরে ১২ হাজার ডলার খরচ করার সুযোগ রয়েছে।

তবে সিকদার পরিবারের ৯ জন সদস্য ও সিকদার গ্রুপের দুই কর্মকর্তার নামে ইস্যু করা কার্ডের বিপরীতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত এক কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২৯ ডলার খরচ করা হয়েছে। অনুমোদিত সীমার বাইরে এ খরচ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল সময়ে এই খরচের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) গোপন করা হয়। যে কারণে ব্যাংকটি জরিমানার মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংককে জরিমানার বিষয়টি সঠিক। ক্রেডিট কার্ডসহ যে কোনো ঋণে কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে তা ভঙ্গ করায় জরিমানা করা হয়েছে।

ক্রেডিট কার্ডে সীমার চেয়ে বেশি খরচ করা সিকদার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের ছেলে ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। আরও আছেন জয়নুল হকের আরও তিন সন্তান দিপু হক সিকদার, মমতাজুল হক ও লিসা ফাতেমা হক। রিক হক সিকদারের দুই ছেলে জন হক সিকদার ও শোন হক সিকদার, নাসিমা হক সিকদারের মেয়ে মনিকা সিকদার খান এবং জেফরি সিকদার রয়েছেন এ তালিকায়।

এছাড়া সিকদার গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও গ্রুপের কর্মকর্তা ভারভারা জারিনাও সীমার বেশি খরচ করেছেন।

পরিদর্শনের আলোকে গত নভেম্বরে ব্যাখ্যা চাওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের জবাবে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মৌখিক অনুরোধ এবং ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সুপারিশে ভ্রমণ কোটার সীমার বাইরে ডলার খরচের সুবিধা দেওয়া হয়। ব্যাংকের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ২২ ডিসেম্বর আবার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। পরবর্তী জবাবও সন্তোষজনক না হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।

১১৭ কোটি টাকা পাচার,এনবিএল,৫৫ লাখ টাকা জরিমানা,ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend
Vention